জগন্নাথপুর২৪ ডেস্ক::
সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের হামলায় মওদুদ আহমেদ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে বন্দরবাজার এলাকায় কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মওদুদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত মওদুদ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখায় ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন পাশাপাশি হরিপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নগরের বন্দরবাজারে যান মওদুদ। সন্ধ্যায় কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে পৌঁছার পর অটোরিকশা চালক নোমানের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় মওদুদের। এক পর্যায়ে চালক নোমানসহ আরও কয়েকজন চালক মিলে মওদুদের উপর হামলা চালান। এ সময় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে মওদুদ গুরুতর অসুস্থ হলে মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত পৌনে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ হামলাকারী অন্য চালকরা পালিয়ে যান। পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মওদুদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। নোমান সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।
বিষয়টি সিলেট মিররকে নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, ‘শনিবার রাতে বন্দরবাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মারধরে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় জড়িত একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি আমরা। রবিবার তার বাড়িতে অভিযানও চালিয়েছি আমরা। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে, দ্রুতই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টা এলাকায় ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক নির্মাণ করতে গিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের সময় পরিবহন শ্রমিকদের হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপরও হামলা করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। একপর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে শটগান ও গুলিসহ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আহমদ ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপর হামলা চালাতে অস্ত্রধারী ওই যুবক প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময় সিসিকের শ্রমিকরা তাকে ধরে পুলিশে দেন। তবে পরিবহন শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন আটক ফাহাদ তাদের কেউ নন।
শৌজন্যে সিলেট মিরর
Leave a Reply