1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
শেখ হাসিনা এক মৃত্যুঞ্জয়ী মহীয়সী-মনোরঞ্জন তালুকদার - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা এক মৃত্যুঞ্জয়ী মহীয়সী-মনোরঞ্জন তালুকদার

  • Update Time : বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৮৭ Time View

অভাবনীয় ও অচিন্তনীয় ঘটনার ঘনঘটায়, নিষ্ঠুরতা ও নির্দয়তায়, দানবীকতায় ও পাশবিকতায়, বেদনার গভীরতায় ও পৈশাচিকতার ব্যাপকতায় আগষ্ট মাস হয়েছে রক্তস্নাত ও অশ্রুসিক্ত এক শোকাবহ মাসের প্রতিচ্ছবি।

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগষ্ট যে রক্তাক্ত বিয়োগান্তক ঘটনার সূচনাকাল তারই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ঘটনা হচ্ছে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের শেখ হাসিনার শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা। ১৫ আগষ্ট আর ২১ আগষ্টের ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও আদর্শের একই সূত্রে গাথা পরম্পরা। ১৫ আগষ্টের অসমাপ্ত কাজকে ২১ আগষ্টে সমাপ্ত করার প্রচেষ্টা ছিল হত্যাকারীদের। যিনি হত্যার এই নীলনকশার শিকার হয়েও লক্ষ কোটি জনতার অকৃত্রিম ভালবাসা আর পরম দয়াময় স্রষ্টার অপার কৃপায় বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে জীবনের আঙ্গিনায় অলৌকিক ভাবে ফিরে এসেছেন তিনি হচ্ছেন গণমানুষের নেত্রী, জননন্দিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি বাক্য আছে “রাখে আল্লাহ মারে কে” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনে এই বাক্যটি আক্ষরিক অর্থেই সত্য প্রমানিত হয়েছে বারে বারে। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও অলৌকিক ভাবে জীবনের জয়ধ্বনিতে সঞ্জীবিত হয়েছে তাঁর জীবন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর মোট ১৯ বার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে একুশে আগস্টে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেও বিদেশে অবস্থান করার কারণে সে রাতে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
কিন্তু শেখ হাসিনার ওপর থেকে লক্ষ্য সরে যায়নি ঘাতকদের। তাই বার বার হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন তিনি। গুনে গুনে সে হামলা হয়েছে ১৯ বার।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফেরার পর থেকেই ধাবমান মৃত্যুর কালোছায়া সঙ্গ নিয়েছে তাঁর জীবনের পিছু পিছু। নিরন্তর মৃত্যু অভিমুখে বিরামহীন ছুটে চলার নামই জীবন। পৃথিবী আমাদের আসল ঠিকানা নয়। তাই বলে গুপ্ত ঘাতকের হাতে মৃত্যু মানে তো জীবনের অপচয়। জীবনের এই অপচয় কাঙ্ক্ষিত বা বাঞ্জিত হতে পারেনা। অথচ সেই ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভবিতব্যকে সঙ্গী করেই এতটা বছর যাবত জীবনের পথ চলতে হচ্ছে তাঁকে।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফেরার পর পরই তার উপর হামলা চালায় ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা।
২৫ জানুয়ারি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামে লালদীঘির ময়দানে ৮ দলীয় জোটের মহাসমাবেশে ভাষণ দেবার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বিমান বন্দর থেকে যাবার পথে তাঁর ট্রাকে পুলিশ ও তৎকালীন বি ডি আর গুলি চালায় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে। তাতে ৭ জন নিহত ও তিনশ জন আওয়ামিলীগ কর্মী আহত হলেও বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এটা ছিল তাঁকে হত্যা করার দ্বিতীয় প্রচেষ্ট।
১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা। ইত্তেফাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদের ফ্রিডম পার্টির একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে হামলা চালায়। শেখ হাসিনা তখন ঐ বাসভবনেই ছিলেন। হামলাকারীরা ৭/৮ মিনিট ধরে বঙ্গবন্ধু ভবন লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়নি বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইত্তেফাকের ১২.০৯.১৯৯১ তারিখের আরেক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়া থেকে ফিরে বেলা আড়াইটার দিকে তিনি গ্রিনরোডে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে যান। ‘গাড়ি হইতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপির ওয়াহিদের নেতৃত্বে বিএনপি’র কর্মীরা গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ করিতে শুরু করে। ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ও বোমাবর্ষণ হয়। এটা ছিল তৃতীয় হত্যা প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুলাই শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনার মাধ্যমে চতুর্থ বারের মত তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।
তারপর পঞ্চম বার ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর  ঈশ্বরদী ও নাটোর রেল স্টেশনে প্রবেশের মুখে শেখ হাসিনাকে বহনকারী রেলগাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।
১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর রাসেল স্কয়ারের কাছে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তার উপর গুলিবর্ষণ করার মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ বারের মত হত্যা চেষ্টা পরিচালিত হয়।
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার পর হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। হত্যাকারীদের সপ্তম বারের চেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই  ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্রকন্যাসহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণার ই-মেইল পাঠায়
২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে এবং হেলিপ্যাডের কাছে ২০ জুলাই ৭৬ কেজি ওজনের বোমা গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়ে। ২২ জুলাই বেলা সাড়ে দশটায় শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার কথা ছিলো।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিলো তাঁর। সেখানে পুঁতে রাখা বোমা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ । পরে জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ স্বীকার করে, তারাই হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিলো।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর  সিলেটে রাত ৮ টার দিকে জনসভাস্থল থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আগেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টা। হরকাতুল জিহাদ হুজি এই হত্যা চেষ্টার কথা স্বীকার করে।
২০০২ এর ৪ মার্চ যুবদল ক্যাডার খালিদ বিন হেদায়েত নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দের  ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামাত নেতা-কর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালায়। ক্ষমতাসীন জোটের এমপির প্রত্যক্ষ মদদে জোট সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালায় বলে বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে গুলিবর্ষণ করে জামায়াত-বিএনপি।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবচে শক্তিশালী নেতৃত্বকে চিরতরে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট তাঁর উপর ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলা করা হয়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশস্থলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও নিহত হন আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী। হামলায় আরও ৪শ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার যে বিবরণ পরদিন সমস্ত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় যে ভাবে বর্ণনা করা হয়,” ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সময় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট। স্থান আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের সড়ক, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মাত্রই শেষ হলো দলীয় সমাবেশ। খোলা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়া শেষ করলেন সেই সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। সমাবেশস্থলে ট্রাকের চারপাশে তখনো কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকের ভিড়।
ট্রাকের শেষ মাথায় মই লাগানো। নামার জন্য সেদিকে এগিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা। তারপর যা ঘটল, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো গ্রেনেড। একটি নয়, একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকল গ্রেনেড। এতটা দ্রুত একটির পর একটি বিস্ফোরণ সম্ভবত যুদ্ধক্ষেত্রেও কদাচ দেখা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ যখন থামল, তখন বোঝা গেল, এ কেবল নিছক শব্দ নয়, এ ছিল নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। দেখা গেল গ্রেনেডের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়া মানুষের দেহ এবং তার ওপর দিয়ে জ্ঞানশূন্য মানুষের দিশেহারাভাবে ছুটে চলা। ক্ষমতায় তখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার।
ঘাতকেরা যাঁকে হত্যার জন্য নারকীয় এই আয়োজন করেছিল, সেই শেখ হাসিনা কিন্তু প্রাণে বেঁচে গেলেন অলৌকিকভাবে। সে দিন শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে তাঁকে ঘিরে মানবপ্রাচীর সৃষ্টি করেছিলেন ঢাকার প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী মায়াসহ দলের আরও একাধিক শীর্ষ নেতা।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ জুলাই বিনা ওয়ারেন্টে সেনাসমর্থিত ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সে সময় শেখ হাসিনার খাবারে ক্রমাগত বিষ  দিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ‘স্লো পয়জনিং’ এর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এমনকি ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত পিলখানার বি ডি আর বিদ্রোহকে কেন্দ্র করেও শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সাথে বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র এবং আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। সেজন্য শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসবাদী গ্রুপকে আগাম পেমেন্টও দেওয়া হয়। আততায়ীদের টিমটি গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে  ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করার লক্ষ্যে একটি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো যা ব্যর্থ হয়ে যায়। উইকিলিকস প্রকাশিত সৌদি আরবের এক গোপন বার্তায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেজর ডালিম এ অভ্যুত্থান পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলে‍া। হংকং, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বসে এ অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনা চলছিলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সদস্য এতে জড়িত ছিলেন। হংকংয়ে বসবাসরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ইশরাক আহমেদ এ পরিকল্পনায় অর্থায়ন করে বলে গোপন বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকাশিত নথি অনুসারে, এ ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা এবং পরিকল্পনায় খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা ছিলো। (দৈনিক যুগান্তর, ৪ জুলাই, ২০১৫)।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময়ে কারওয়ানবাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা হয়।
সেই ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি এমনি করে মৃত্যুভয়কে দলিত মথিত করেই বেঁচে আছেন শেখ হাসিনা। পরিশেষে কবি গুরুর ভাষায় বলতে চাই,
কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,
তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে
যাহারা তোমার বিষাইয়াছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভাল।
লেখক- মনোরঞ্জন তালুকদার
সহকারী অধ্যাপক
জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com