সোহেল আহমদ শান্তিগঞ্জ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ—৩ আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান এমপির ছেলে সাদাত মান্নান অভি চেয়াম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে উচ্ছ্বসিত হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তিনি একাধারে যুক্তরাজ্য ব্যার্কলেইজ ব্যাংকের এমডি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি। সাধারণ মানুষও সাদাত মান্নান অভি’র পক্ষে এই প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। প্রচারণা চলছে স্যোসাল মিডিয়ায়ও। হাট—বাজার ব্যানার—ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। অনেকেই চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন। বলছেন, যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য উত্তরসূরি সাদাত মান্নান অভি। আমরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এমন যোগ্য মানুষকেই আগামীর নেতা হিসাবে দেখতে চাই। তবে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন কি না সে নিয়েও চলছে আলোচনা।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, সাদাত মান্নান অভি, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন। সব কিছু ঠিকটাক থাকলে ২—১ দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা ও গণসংযোগ চালানো হবে বলেও জানা যায়। নির্বাচন করবেন এটা একেবারেই নিশ্চিত হয়েছেন এই প্রতিবেদক।
সাদাত মান্নান অভি যুক্তরাজ্য প্রবাসী হলেও তিনি বিগত দ্বাদশ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও তাঁর পিতা এম এ মান্নানের পক্ষে শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার গ্রাম—গঞ্জে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। বিশেষ করে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যান এবং দলমত নির্বিশেষে সাবলিল চলাফেরা, আচার—আচরণে, ভদ্রতা ও মার্জিত ব্যবহারে ভাল মানুষ হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। যার ফলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রস্তাব আসতে থাকে এবং গ্রাম—গঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ও সোসাল মিডিয়া ফেসবুকেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।
অনেকেই মনে করছেন, যার পিতার হাত ধরে সুনামগঞ্জ জেলায় বৃহৎ বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে ২০০৬ সালে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর কোন স্থাপনা না থাকলেও এম এ মান্নানের উন্নয়নে আলাদাভাবে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বীকৃতি পেয়েছে। এম এ মান্নান একজন নির্লোভ মানুষ, উন্নয়ন পাগল মানুষ হিসাবে জনগণের কাছে পরিচিতি আছে তাঁর।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম জানান, সাদাত মান্নান অভি একজন সু—শিক্ষত ও ভদ্র মানুষ। তাঁকে নিয়ে আমরা গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি গ্রামে ও হাট—বাজারে গিয়েছি। তিনি খুবই মার্জিত মানুষ। এলাকার মানুষ উনাকে নিয়ে আগামীর স্বপ্ন দেখেন। আমরাও চাই আগামীর নেতৃত্বে এই রকম মানুষ প্রয়োজন। আমরা দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সহ সকলেই চাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভি ভাইকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করতে।
উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন জানান, যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ইতোমধ্যে সাদাত মান্নান অভি ব্যাপক ভাবে পরিচিতি পেয়েছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাদাত মান্নান অভি ভাইকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। এমন মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে এলাকার উন্নয়ন আরও অনেক গুণ বেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দলমত নির্বিশেষে প্রিয় নেতা উন্নয়নের বাতিঘর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি স্যারের সুযোগ্য উত্তরাধীকার সাদাত মান্নান অভি ভাইকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করবো।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি তহুর আলী জানান, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর্বজনা মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, সৎ ও মেধাবী, যোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা নির্বাচিত করবো। আমরা এমন একজন মানুষকে বাচাই করেছি, যার কোন কলঙ্ক নাই, যার কোন অহংকার নাই, যিনি একদম সাদা মনের মানুষ, তিনি আমাদের হাওর এলাকার উন্নয়নের মহানায়ক জননেতা এম এ মান্নান এমপির সুযোগ্য পুত্র সাদাত মান্নান অভি। তাঁকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এম এ মান্নান এমপির সাবেক রাজনৈতিক সচিব ইবকাল হোসেন জানান, সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি স্যারের সুযোগ্য পুত্র সাদাত মান্নান অভি ভাই একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তিনি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন। এরই মধ্যে সকল নেকতাকর্মীরা মাঠে কাজ করা শুরু করেছেন। হাট—বাজারগুলোতে প্রচারণা চলমান আছে। অভি ভাই কয়েক দিনের মধ্যেই এলাকায় আসবেন। তখন আরও ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে। এলাকায় এসেই মানুষের ঘরে—ঘরে যাবেন তিনি। সবার দোয়া নিয়ে গণসংযোগে নামবো আমরা।