স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ দুই সেতু দিয়ে সপ্তাহখানিক বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার থেকে আবারো যানচলাচল শুরু হয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ অনেকটা কমেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, আষাঢ়ের অব্যাহত ঢলে উপজেলার নদ-নদী বৃদ্ধি পাওয়ায় সদরের নজলুর নদীর হেলিপ্যাড এলাাকায় বিকল্প বেইলি সেতু গত ৩ জুলাই পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এ সেতু দিয়ে সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে নলজুরের অপর দেবে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ডাক বাংলোর সরো সেতুতে যানবাহণের প্রচণ্ড চাপ বাড়লে স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনায় এড়াতে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যে কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। গত কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ফের চালু হয়েছে দুই সেতু দিয়ে যানচলাচল।
স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানান, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি টেকসই থাকলেও একসঙ্গে বড় দুটি যান চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির মাধ্যমে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাতন এ সেতু ভেঙে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গত ২৬ মার্চ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করলে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিকল্প হিসেবে একমুখী একটি বেইলি সেতু হেলিপ্যাড এলাকায় নির্মাণ করা হয়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সেতুটি নিচু করে তৈরী করায় আষাঢ়ের ঢলে গত সোমবার সেতু ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসেতু দিয়ে নদীর পশ্চিম অঞ্চলের যানবাহন পূর্বাঞ্চলে যাতায়াত করে।
অপর দিকে ১৯৮৮ সালে নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুটি ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরো এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। ২০২১ সালে নলজুর নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভার সেতুর দেবে যাওয়া অংশে ষ্টীলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করে। বিকল্প সেতু চালুর পর ডাকবাংলো সেতু দিয়ে পুর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিম অঞ্চলে যান চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, জনসাধারণের চলাচলের সুবিদার্থে বিকল্প সেতুর সংযোগ সড়কে বালির বস্তা ফেলে উপযোগি করা হচ্ছে। এছাড়া নদীর পানি কমে যাওয়ায় দুই সেতু দিয়েই যান চলাচল শুরু হয়েছ।