জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডেস্ক:: দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (সিআইপি-শিল্প) সম্মাননা দিতে যাচ্ছে সরকার। ২০১৪ সালের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় মোট ৫৬ জনকে সিআইপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও সিআইপিদের সম্মাননা দেওয়া হবে। বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ অর্থনীতিতে অবদানের জন্য সাতটি ক্যাটাগরিতে সিআইপি মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে পদাধিকার বলে ১২ জন, বৃহৎ শিল্পে ২১ জন, মাঝারি শিল্পে নয়জন, ক্ষুদ্র শিল্পে ছয়জন, মাইক্রো শিল্পে দু’জন, কুটির শিল্পে একজন এবং সেবা শিল্প ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সিআইপি কার্ডপাবেন। রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে আগামী ৭ মে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এই ৫৬ জনের হাতে সিআইপি সম্মাননা কার্ড তুলে দেবেন।
সিআইপি কার্ডধারীরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় তারা আমন্ত্রণ পাবেন। সিআইপিরা ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক, জলপথ ও সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন তারা। ভিসাপ্রাপ্তির সুবিধার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সিআইপিরা সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধায় অগ্রাধিকার পাবেন।পদাধিকারবলে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন_ এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ. কে. আজাদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিএফএ) সভাপতি তপন চৌধুরী ও বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। এ ছাড়া উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস-উজ-জোহা, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফআইসিসিআই) সভাপতি রূপালী চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি রোকিয়া আফজাল রহমান।
এবার বৃহৎ শিল্প খাতে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন_ জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (নোমান), আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোনেম এবং বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পারভেজ রহমান। সুপার রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ, ফারিহা নিট টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, ইসলাম রি-রোলিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম, এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা সালমান ইস্পাহানি, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জলিল, ইউনিভার্সেল জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, স্কয়ার কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের অঞ্জন চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, এসিআই ফর্মুলেশনসের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, প্যাসিফিক জিন্সের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ফার সিরামিকসের চেয়ারম্যান খোদেজা ফরহাদ রুহী, জেম জুটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ।
মাঝারি শিল্প খাতে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন সিটাডেল অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম খান, বিডি সি ফুডের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী, অকো-টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সোবহান, বসুমতী ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড এম গোলাম নবী, বিআরবি পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, জেমিনি সি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাহেদ আহমেদ, বিডি ফুডসের পরিচালক মোহাম্মদ তাফহীম আল-আজমী, অ্যাটলাস সি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মিজানুর রহমান ও ইগলু ফুডসের পরিচালক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম।ক্ষুদ্র শিল্পে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজবার রহমান, বেইলি ইয়ার্ন ডাইংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ জামান, ফুটবেড ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, করিম স্পিনিং মিলসের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আমানত শাহ উইভিং প্রসেসিংয়ের পরিচালক লুৎফা বেগম এবং টেকনোমিডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ।মাইক্রো শিল্প খাতে আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল সিআইপি মনোনীত হয়েছেন।
সেবা শিল্প খাতে নাভানা রিয়েল এস্টেটের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম, এসটিএস হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, শান্তা প্রোপার্টিজের পরিচালক জেসমিন সুলতানা, নাভানার চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম সেরাজ সিআইপি মর্যাদা পাচ্ছেন। কুটির শিল্পে জননী উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম পরান সিআইপি মনোনীত হয়েছেন।