জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক ::
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু নামে সিলেটে কর্মরত পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের সময় ঘটনার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি প্রকাশ করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগে নির্যাতিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ঘাটাইল থানা পুলিশ এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি।
শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী এসব অভিযোগ করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি নিজ ঠিকানা উল্লেখ করে জানান, তাকে একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু তার কুপ্রস্তাবে তিনি রাজি হননি।
স্বামী বিদেশে থাকায় ১৩ বছরের বয়সী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি। এই সুযোগে মিন্টু তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অবৈধ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন।
তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ জুন রাত ৮টার দিকে সে হঠাৎ ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে যাওয়ার সময় ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে বলে জানায়। এ কথা কাউকে বললে ওই ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এরপর ধর্ষণের চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করার চেষ্টা করেন মিন্টু।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় মিন্টু তার সহযোগী মৃত খালেক মণ্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলীকে সঙ্গে নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে পুনরায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মিন্টু পালিয়ে যায়।
পরে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
অভিযুক্ত এসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু বর্তমানে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর সঙ্গে স্বামী জয়নাল আবেদীন, স্বামীর বড় ভাই জসিম উদ্দিন এবং প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, এসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলাটি রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
এ নিয়ে অভিযুক্ত মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু জানান, ঘটনাটি সাজানো একটি ষড়যন্ত্র। তার মানসম্মান হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই প্রবাসীর ওই স্ত্রী এমন অভিযোগ তুলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।