বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্ঠায় অচিরেই জগন্নাথপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের ৫০ কোটি টাকার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যেেেগ প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যেেেগ প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জগন্নাথপুরের ইউএনও মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর বর সরকারের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক প্রমুখ।
জানা গেছে, সারাদেশে ২৩টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকে ২০১৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পে ৯৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
জানা গেছে, সারাদেশে ২৩টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকে ২০১৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পে ৯৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশের ২৩টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বাস্তবায়নে ৪ একর, ৪৩ শতক জমির ভূমিতে পৌরসভার জন্য একটি গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লাট, ওভার হেড ট্যাংক, একটি সলিট ওয়েস্ট কস্পোস্টিং সিস্টেম, ২৬ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, ৯৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, ১৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৬টি পাবলিক টয়লেট, ৩৬টি ডাষ্টবিন, একটি পানি সরবরাহ অফিস, ও ২টি তিন টন ওজনের ট্রাক বরাদ্দ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত বাংলাদেশের ২৩ পৌরসভা ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গত বছরের ৯ জানুয়ারি জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র বরাবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪ একর ৪৩ শতক ভূমি ৫ দিনের মধ্যে অধিগ্রহণ করে তথ্য পাঠানোর জন্য চিঠি দেন। কিন্তু ভূমি জটিলকায় ওই সময় প্রকল্পের কার্যক্রম আটকে যায়। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট ভূমি পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। এরপর আবেদনটি ভূমি মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হলে সাম্প্রতিককালে মন্ত্রণালয় জগন্নাথপুর পৌরশহরের কামাল কমিউনিটি সেন্টারের নিকটবর্তী এলাকায় সরকারি দেড় একর ভূমি অনুমোদন করে। ইতিমধ্যে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছেন। এনকাজ পেয়েছেন ঢাকার এস এ জিলানী ও আদিল ইন্টার প্রাইজ। আগামী মাসেই কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার বলেন, আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান স্যারের প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুরের জনসাধারণের সুবিধার্থে ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পটি কাজ আগামী মাস থেকে শুরু হবে। একাজের উদ্বোধন করবেন মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।