স্টাফ রিপোর্টার::

জগন্নাথপুরের রাজনৈতিক ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক সময়ের প্রিয় মুখ পৌরশহরের ইকড়ছই  মির্জাবাড়ীর বাসিন্দা মির্জা রফিকুল বারী রফু মিয়ার নামাজের জানাজা আজ সোমবার (২৮ সেপ্টম্বর) বেলা দুই টায় নিজ বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী ছুফি মিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা: আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, পৌর কাউন্সিল খলিলুর রহমান, জাপা নেতা আব্দুল মনাফ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্য়ায়ের নেতৃবন্দ এবং শোকাহত মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মির্জা কফিকুল বারী বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে

আজ সকাল সাড়ে ৭ টায় চিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইনা লিল্লাহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক ছেলে ৫মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন গুনগাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জগন্নাথপুর উপজেলার দায়িত্বে ছিলেন। জাগদলের উপজেলা শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জগন্নাথপুর পেরুয়া এলাকায় এক দলীয় কমসূচিতে যোগদিলে মির্জা রফিকুল বারী উক্ত সভা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে মির্জা রফিকুল বারী উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির সন্মানিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
তিনি ইকড়ছই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। প্রগতি যুব সংঘ প্রতিষ্ঠাতা করে তিনি সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখেন। জগন্নাথপুর বাজারে বাটার শো-রুম পরিচালনা করে দীর্ঘদিন সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।